সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। করোনার জন্য এবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাদ রাখা হয়েছে এবং কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জিরো আওয়ারের সময়ও৷ ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরুর দিনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বসবে নিম্ন কক্ষের অধিবেশন। উচ্চ কক্ষ অর্থাত্ রাজ্য সভার অধিবেশন চলবে বিকেল ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত এবং একদিন অন্তর রাজ্য সভা চলবে সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা আবার সেই দিনে লোকসভা চলবে বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।
চলতি বছর মহামারির কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক । করোনা সংক্রমণের জেরে সুরক্ষা নীতি মেনেই এই সিদ্ধান্ত। গত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথমবার সংসদে কোনও অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠক করা হচ্ছে না। তবে রবিবারই লোকসভা অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করতে বিজসেন অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত করা হয় ।এই বৈঠকে অর্থনীতি,পরিযায়ী শ্রমিক এবং চিনা আগ্রাসন ইত্যাদি বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধী দলের নেতারা।রবিবার এই মিটিংয়ের পর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন সরকার যে কোনও ইস্যুই সংসদে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
বিরোধীদের ঠেকাতে লাদাখ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারে সরকার, বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।সোমবার অধিবেশনের শুরুতে এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গত ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তার পর থেকেই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলছিল, সরকার বলুক চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল কিনা সোমবার থেকে ১৮ দিনের জন্য বসছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মোট ৪৫টি বিল এবার সংসদে উঠছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল লাদাখ। লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছে তাতে লাদাখ নিয়ে কিছু বলা না হলে প্রবল হইহট্টগোলের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে লাদাখ সমস্যা নিয়ে চুপ থাকা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ অধিবেশন শুরু হলেই বিরোধীরা এই ইস্যু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে সরকারের বিরুদ্ধে। তাই আগে থেকেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছে কেন্দ্র। আর সেই কারণেই হয়তো অধিবেশনের শুরুতে এই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে কেন্দ্রের তরফে।আর সেক্ষেত্রে সরকার কতটা কী বলবে সেটাই এখন দেখার।
এবার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে সাংসদদের।যেমন, সংসদে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেককে করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই প্রবেশ করা যাবে সংসদে। প্রত্যেককে RT-PCR টেস্ট করানোর ও সেই রিপোর্ট নিয়ে আসার কথা জানানো হয়েছে। যদি কারোর সেই টেস্ট করানো না থাকে, তবে সংসদের রিসেপশনে টেস্ট করানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। সেখান থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে ওই ব্যক্তিকে। যতদিন না টেস্ট রিপোর্ট আসছে, ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।তবে এখনও অবধি পাঁচ সাংসদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর৷