
অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) সহ অন্যান্য ৩০ টি সংগঠন ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে ‘গণ হুঁকার’ আহ্বান জানিয়েছে।এই বিক্ষোভ প্রদর্শনে সিএএর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আসু এবং অন্যান্য ছাত্র ইউনিয়নগুলি গত বছর রাজ্য ও দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাণ হারানো পাঁচ শহীদদের ন্যায়বিচার দাবি করবে।
সম্প্রতি গত বছর ১১ ই ডিসেম্বর আসু তাদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল যে কেন্দ্র সরকার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করেছে এর বিরুদ্ধে ১২ ডিসেম্বর থেকে, রাজ্য জুড়ে আমাদের অসমের মানুষ সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেবে।এরপর সমস্ত রাজ্য জুড়ে আসু ও অন্যান্য সংযোগগুলি বিশাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।এই বিক্ষোভ চলাকালীন এক স্কুল ছাত্রসহ পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারান। এটি ছিল অসম রাজ্যের দ্বারা দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংস প্রতিবাদগুলির মধ্যে একটি।
তখন থেকেই সেই পাঁচ জন প্রতিবাদীদের নিরীহ জীবনের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছে।তাছাড়া আসু কর্তৃক জানানো হয়েছে যে রাজ্যের সব জেলাতে গণ হুনকার পালন করা হবে। তাছাড়া সিএএবিরোধী বিক্ষোভে শহীদদের ন্যায়বিচার এবং সিএএ প্রত্যাহারের জন্য ড্রামস, সংখা, তাল, ,ঢোল বাজানো হবে।
সম্প্রতি গত বছর সিএএবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ডাকঘর, বাস টার্মিনালগুলি সহ বিভিন্ন সরকারী সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। রাজ্যে অনির্দিষ্ট কারফিউও চাপানো হয়েছিল।
তাছাড়া পাঁচ শহীদদের মধ্যে, সতেরো বছরের একটি ছেলে স্যাম স্টাফোর্ড সবার মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন।তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। স্টাফোর্ডের পাশাপাশি ১৯ বছর বয়সী দিপঞ্জল দাস, ২৩ বছর বয়সী আবদুল আমিন, ২৫ বছর বয়সী ঈশ্বর নায়ক এবং ৪৫ বছর বয়সী আজিজুল হক প্রাণ হারান। দিপঞ্জল দাসকে অসমের সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
উল্লেখ্য যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, পার্সী, জৈন এবং বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকতা প্রদান করা হবে।