ইতিমধ্যে ভারত চীন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে দফায় দফায় উচ্চ স্তরীয় বৈঠকের সত্ত্বেও এখনও কোন সমাধান আসেনি। অসম-মিজোরাম সীমান্ত বিবাদ ঘিরে ঠিক একই রকম পরিস্থিতি উৎপন্ন হচ্ছে।দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত এটা খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার কিন্তু অসম-মিজোরাম সীমান্ত বিবাদ দিন প্রতিদিন বেড়েই যাচ্ছে।রাজ্যে সরকারের তৎপরতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কড়া নির্দেশের সত্ত্বেও এখনও কোন সমাধান আসেনি।এমনকি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি উৎপন্ন হচ্ছে।

সম্প্রতি শনিবার ফের করিমগঞ্জ ও মামিত জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসন পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এতেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাজারিছড়া থানা অধীন ইচাবিল চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয়।এতে উপস্থিত ছিলেন দুই রাজ্যের বারো জনের প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে করিমগঞ্জের জেলাশাসক অম্বামুদন এমপি সহ নবাগত পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার, বন বিভাগের ডিএফও জালনুর আলি, অতিরিক্ত জেলা শাসক ধ্রুবজ্যোতি দেব, পাথারকান্দির সার্কেল অফিসার জেনাথন ভাইপেই সহ জেলা তথ্য ও জনসংযোগ আধিকারিক সাজ্জাদুল হক চৌধুরী। আর মিজোরাম রাজ্যের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন মামিত জেলার জেলাশাসক ড. লালরোজামা সহ পুলিশ সুপার শসাঙ্ক জয়সয়াল, সদর এসডিও ভিক্টর লালামপুইয়া, ডিএফও লালবিয়াক সহ মামিত জেলার জনসংযোগ আধিকারিক পল রাকমিন প্রমুখ। সীমান্ত সমস্যা সহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এদিনের বৈঠক প্রায় ৩০ মিনিট চলে।তাছাড়া এদিনের বৈঠকে মামিত জেলার জেলাশাসক লালরোজামা মিজোরাম কোন অর্থেই সেনা সরাবে না বলে কড়াবার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে করিমগঞ্জ ও মামিত জেলার জেলাশাসক একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় অসম মিজোরাম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করিমগঞ্জ ও মামিত জেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।তাছাড়া অসম মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহি যানবাহন যাতে কোন বাধা ছাড়াই চলাচল করতে পারে তার জন্য দুই জেলার জেলা প্রশাসন সচেতন থাকবে।

তাছাড়া কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লায়লাপুর ফরেস্ট বিট অফিসে মিজোরামের কলাশিব জেলা প্রশাসন ও কাছাড় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে শনিবার সকাল ১১টায় আসাম-মিজোরাম সীমান্তের উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।সকাল প্রায় দশটায় লায়লাপুরে পৌঁছান কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি, পুলিশ সুপার বিএল মিনা, ডিএফও সানিদেও চৌধুরী, সোনাইর সার্কেল অফিসার সুদীপ নাথ।তারা সকাল ১০টা থেকে লায়লাপুর ফরেস্ট বিট অফিসে মিজোরামের কলাশিব জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আসার অপেক্ষা করতে থাকেন।তারপর দুপুর ১২টায় কলাশিব জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তরফ থেকে কাছাড়ের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়, বৈঠকের জন্য কলাশিবের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, এসডিও সিভিল প্রমুখ লায়লাপুরে আসতে সময় মিজোরামের ভাইরেংটিতে তাদের আটকে দেয় মিজো সংগঠন ওয়াইএমএ, এমজেডপি এবং স্থানীয় জনতা।অবশেষে বৈঠকই বাতিল হয়ে যায়।
সম্প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওআইএমএ, এমজেডপি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে খুলিছড়া সেতুর কাছে বেশ কিছু বাঙ্কার বানিয়েছে আইআরপি বাহিনী যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ ধারণ করেছে।