লাদাখের পর এবার অরুণাচল। লাদাখ সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই অরুণাচলের চীন সীমান্তের কাছ থেকে ৫ যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠল লালফৌজের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচলের আপার সুবর্ণসিরি জেলার নাচো সার্কল এলাকায় । অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেছেন। তিনি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও জানান।
শনিবার নাচো এলাকার সেরা ৭ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে দুমতু ইবিয়া, প্রসাদ রিংলিং, নাগারু ডেরি, তোচ সিংকম ও তানু বাকর নামের ৫ ভারতীয় কিশোরকে অপহরণ করে চীন সেনা | এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করেছেন অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক।
অপহৃতদের এক জনের দাদা প্রকাশ রিংলিংও কেন্দ্রীয় সরকার ও সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে টুইট করে অপহরণের বিষয়টি জানান। অপহৃতরা সকলেই স্থানীয় তাজিন সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। যেখান থেকে পাঁচ যুবককে অপহরণ করা হয়েছে সেই সেরা-৭ এলাকা থেকে ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ১০০ কিলোমিটার দূরে।ওই যুবকরা খুব ভোরে সেরা-৭ এলাকার জঙ্গলে গিয়েছিলেন গাছের গুল্ম সংগ্রহ করতে। তাদের ভোর পাঁচটা নাগাদ অপহরণ করা হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ঘটনাটির প্রসঙ্গে ওই এলাকা এসপি তরু গুসার বলেছেন, “আমাদের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সোস্যাল মিডিয়া থেকে পুরো বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” তিনি আরও জানান, সেনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
অপহরণের শিকার যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করা হয়নি জানিয়ে অরুণাচল পুলিশের ডিজি আর আর উপাধ্যায় বলেন,” শনিবার ভোর ৫টার দিকে নাচো সার্কলের সেরা-৭ এলাকার একটি জঙ্গল থেকে ৫ যুবককে অপহরণ করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তার আশ্রয় নিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসেও ঔষধি গাছ খুঁজতে গিয়ে চীনের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে এক যুবক। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে ভারতীয় সেনার চেষ্টায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।