আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-তম সমাবর্তন
শিলচর, ৩০ এপ্রিল
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আগামী ৫ থেকে ৭ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে মুখ্য অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক ম্যাগসাইসাই পুরস্কার এবং স্টকহোম ওয়াটার প্রাইজে সম্মানিত সমাজসেবী রাজেন্দ্র সিংহ। সমাবর্তনের প্রথমদিন তিনি অংশ নেবেন।
দ্বিতীয় দিন অংশ নেবেন পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত পরিবেশবিদ অনিল প্রসাদ যোশী। তিনি দ্বিতীয় দিন অংশ নেবেন এবং অনুষ্ঠানের শেষে দিন অতিথি হিসেবে থাকবেন পদ্মশ্রী বিজয়ী চিকিৎসক ডাঃ রবি কান্নান। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন চিকিৎসক ডাঃ কুমার কান্তি দাস এবং স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ মহারাজ।
রাজস্থানের জল সংরক্ষণ আন্দোলনকারী রাজেন্দ্র সিং ২০০১ সালে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি বলেছেন, "ভারতের ৭০ শতাংশ এলাকা শুকিয়ে যাবে। জলের জন্য গোটা দেশে হাহাকার শুরু হয়ে যাবে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব জল সংরক্ষণ নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি ভারতীয়দের।" তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে এলে অবশ্যই এই বিষয়ে বরাক উপত্যকায় সচেতনতা ছড়াবেন।
উত্তরাখণ্ডের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ অনিল প্রকাশ যোশী ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের জন্য। হিমালায়ান এনভারমেন্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড কনজারভেশন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা অনিল প্রকাশ যোশীকে দ্যা উইক ম্যাগাজিন ম্যান অফ দ্যা ইয়ার পুরষ্কার দিয়েছিল। ২০২০ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন। তার উপস্থিতিতে পরিবেশ সচেতনতা নতুন দিক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে উঠে আসবে বলেই আশা করছেন আয়োজকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রদোষ কিরণ নাথ জানিয়েছেন, পরিবেশ সচেতনতাকে প্রাধান্য দিতে এই বছর দেশের দুই সেরা পরিবেশবিদকে সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য একটু অন্যভাবে হয়েছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।
যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা ইতিমধ্যে ২০০০ টাকা দিয়ে সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার আবেদন জানিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে হল টিকেট সংগ্রহ করে নিতে পারে। তবে শুধুমাত্র গোল্ড মেডেল পাওয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকরা সমাবর্তনের স্টেজে উঠে তাদের শংসাপত্র গ্রহণ করবেন। বাকিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেসব বিভাগে তারা পড়াশোনা করেছে সেখানে একটি বিশেষ কাউন্টারে প্রত্যেক পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীর সার্টিফিকেট থাকবে। গবেষকরা নিজেদের বিভাগ থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাজী মুক্ত মঞ্চে হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ৫ মে পিএইচডি, এমফিল, এমএ, এমএসসি, এমকম, এমবিএ, এম টেক সহ সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা বিভিন্ন মাস্টার্স কোর্সের পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা সার্টিফিকেট পাবেন। ৬ মে বিএসসি, বি.কম, বিবিএ, বিসিএ, বিএড, এলএলবি ইত্যাদি ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেবেন। শেষের দিন অর্থাৎ ৭ মে বিএ কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীরা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন। প্রথম দুই দিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল আটটায় এবং শেষের দিনে অনুষ্ঠান হবে দুপুর ১২ টা থেকে।